ফাইল
ছবি
Publish Date
২০২১-১১-০৫
Archive Date
২০২২-১২-৩১
বিস্তারিত
এ কথা আমরা সবাই জানি যে, গাছ পরিবেশের সবচেয়ে উপকারী বন্ধু। মানবজীবনে গাছের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। কাঠ, ফল থেকে আরম্ভ করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু দেখতে পাচ্ছি, সবই গাছের অবদান। অথচ আমরা ক’জনই বা বুঝি গাছের গুরুত্ব। আমরা শুধু মুখেই আওড়াই ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান।’ কিন্তু আমরা আর গাছ লাগাই না। আমরা সবাই যদি অন্ততপক্ষে একটি করে গাছ লাগাতাম তাহলে আজ পরিবেশের এত বিরূপ অবস্থার সৃষ্টি হতো না। এজন্য নেই সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ। পরিবেশ দিবস, ধরিত্রী দিবস এলেই যেন আমাদের গাছ লাগানোর কথা মনে পড়ে। বছরের বাকিটা সময় যেন আমরা কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়ে কাটাই। অনেকেই অনুযোগের সুরে বলেন, আমাদের দেশে গাছ লাগানোর উপযুক্ত জায়গা নেই। কথাটা ঠিক নয়। হিসাব করলে দেখা যাবে, গাছ লাগানোর উপযুক্ত বিস্তর জায়গা পড়ে রয়েছে। দরকার শুধু উদ্যোগ আর বাস্তবায়ন। যেমন আমাদের সড়ক, মহাসড়ক ও রেললাইনের পাশে প্রচুর ফাঁকা জায়গা পড়ে আছে। এগুলোতে যদি আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, আমলকী, বহেরা, হরীতকী, সফেদা, বেদানা ইত্যাদি ফলের গাছ লাগানো হয়, তাহলে এগুলো একদিকে যেমন আমাদের ফলের চাহিদা পূরণে বিরাট ভূমিকা রাখবে, তেমনি আমরা তা থেকে প্রচুর কাঠ ও জ্বালানি কাঠ পাব। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। এছাড়াও দেশের আনাচে-কানাচে চর, নদীর পাড়সহ প্রচুর খালি, অনাবাদি জায়গা পড়ে আছে, এগুলোতে যদি আমরা গাছ লাগাই তাহলে দেশের অনেক উপকার হবে।
এ উদ্যোগটি যদি সরকার অর্থবল, লোকবলের কারণে করতে না পারে তাহলে আমরা চাই আমাদের দেশে বড় বড় অনেক এনজিও বা সংস্থা আছে, সবরকম লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তি করে গাছ লাগানোর দায়িত্ব তাদের যেন দেয়া হয়। তাতে দেশেরই লাভ হবে। এসব সংস্থার দেশে সবুজ বনায়ন সৃষ্টির ভূমিকা আমরা দেখেছি।